ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ! ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার নিয়ম নিয়ে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে চাই। প্রথমেই বলে রাখি, ই পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া বেশ সহজ এবং আপনি যদি সঠিক নির্দেশনা মেনে চলেন, তবে খুব কম সময়েই আপনার পাসপোর্ট হাতে পাবেন। প্রথমেই আপনাকে https://www.epassport.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে “New Application” বা “নতুন আবেদন” অপশনে ক্লিক করবেন। এরপর আপনাকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।

একবার আমি নিজেও ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলাম। তখন আমার কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, কারণ আমি ফর্ম পূরণের সময় কিছু তথ্য ভুল দিয়েছিলাম। তাই একটা কথা মনে রাখবেন, সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। ফর্ম পূরণের পর, আপনাকে নির্দিষ্ট ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। ফি পরিশোধের জন্য বিভিন্ন বিকল্প আছে, যেমন ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি। ফি পরিশোধ করার পর, আপনাকে আপনার বায়োমেট্রিক ডাটা (আঙ্গুলের ছাপ এবং ছবি) জমা দিতে হবে। এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ফর্ম পূরণের সময় আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সঠিক ভাবে দিতে হবে। আমি একবার ভুল করে আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ভুল দিয়েছিলাম, তাই আমার আবেদন প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হয়েছিল। তাই যেকোনো তথ্য দেওয়ার আগে দুইবার যাচাই করে নিন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনি আপনার পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, পুরো নিবন্ধটি পড়ুন। আশা করি, এতে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। শুভকামনা!

ই পাসপোর্ট আবেদন করার সুবিধা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ই পাসপোর্ট হল একটি উন্নত প্রযুক্তি যা পাসপোর্টের সুরক্ষা এবং বৈধতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। এটি সহজেই স্ক্যান করা যায় এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ করে। ই পাসপোর্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ আরও সহজ এবং নিরাপদ হয়।

ই পাসপোর্ট আবেদন করতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

ই পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া: ধাপে ধাপে নির্দেশিকা

ই পাসপোর্ট আবেদন করার প্রক্রিয়া সহজ এবং সুসংগঠিত। প্রথমে, অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে।

পরবর্তীতে, আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। ফি প্রদান করার পর নির্দিষ্ট তারিখে পাসপোর্ট অফিসে সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হতে হবে। সাক্ষাৎকার শেষে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং পাসপোর্ট প্রিন্ট করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম

ই পাসপোর্ট ফরম পূরণ করার জন্য প্রথমেই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে লগইন করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ ইত্যাদি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

তথ্য পূরণের পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ আপলোড করতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ এবং আপলোড করার পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ই পাসপোর্ট আবেদন ফি প্রদান ও প্রিন্টিং

ই পাসপোর্ট আবেদন ফি প্রদান করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। আবেদনকারীরা মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং অথবা নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখায় গিয়ে আবেদন ফি প্রদান করতে পারেন।

ফি প্রদান করার পর একটি রশিদ পাওয়া যাবে যা পরবর্তীতে পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শন করতে হবে। ফি প্রদানের পর পাসপোর্ট প্রিন্টিং শুরু হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদনকারী পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। প্রথমে, পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করে বাতিলের কারণ উল্লেখ করতে হবে।

এরপর আবেদন ফরম বাতিলের জন্য নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। ফি প্রদানের পর আবেদন বাতিলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং একটি বাতিলের রশিদ দেওয়া হবে।

MRP থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার সুবিধা

MRP থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার মাধ্যমে ভ্রমণের নিরাপত্তা এবং সুবিধা বৃদ্ধি পায়। ই পাসপোর্টে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত থাকে যা পাসপোর্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

এছাড়া ই পাসপোর্টের মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা দ্রুত এবং সহজে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। MRP থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ আরও নিরাপদ এবং সহজ হয়।

ই পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ই পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস হলো জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, বর্তমান ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

এছাড়া, আবেদনকারীর পূর্ববর্তী পাসপোর্ট (যদি থাকে) এবং আবেদন ফর্ম পূরণের সময় প্রদত্ত তথ্যগুলি সঠিক এবং সুনির্দিষ্ট হতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়ার সময় এই ডকুমেন্টসগুলি সঠিকভাবে প্রদান করলে ই পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজ এবং দ্রুত হবে।

কাগজপত্র প্রয়োজন
Online Application Summery হ্যাঁ
Online Registration Form হ্যাঁ
জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ হ্যাঁ (বয়স ২০ এর কম ও এনআইডি না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদ)
ঠিকানার প্রমাণপত্র/ ইউটিলিটি বিলের কপি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে
পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টের ফটোকপি রিনিউয়ের জন্য
পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি শিশুদের ক্ষেত্রে
পেশাজীবির ক্ষেত্রে পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড প্রযোজ্য ক্ষেত্রে
নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট প্রযোজ্য ক্ষেত্রে

Read also: নির্বাচনের আগেই সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা পাচ্ছেন NID কার্ড

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরঃ

ই পাসপোর্ট করার জন্য কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে?

ই পাসপোর্ট করার জন্য www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।

ই পাসপোর্ট আবেদনের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক ব্যাপারটি কী?

ই পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক ব্যাপারটি হলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সত্যায়িত করতে হয় না।

ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের সময় কোন তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে?

ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের সময় আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, পিতা-মাতার পরিচয় ও জরুরী যোগাযোগ তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

১৮-২০ বছর বয়সী আবেদনকারীরা কোন ডকুমেন্ট দিয়ে ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন?

১৮-২০ বছর বয়সী আবেদনকারীরা জন্ম নিবন্ধন (BRC) বা জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) যে কোন একটি দিয়ে ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ই পাসপোর্টের ফি কত টাকা থেকে শুরু হয়?

ই পাসপোর্টের ফি সর্বনিম্ন ৪০২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩,৮০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

ই পাসপোর্টের জন্য জরুরি ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোন অপশন সিলেক্ট করতে হবে?

ই পাসপোর্টের জন্য জরুরি ডেলিভারির ক্ষেত্রে Express অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

ই পাসপোর্টের আবেদন সফলভাবে সাবমিট করার পর কি করতে হবে?

ই পাসপোর্টের আবেদন সফলভাবে সাবমিট করার পর Application Summery এবং Online Registration Form এর প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে হবে এবং পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।

এমআরপি থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার সুবিধা কী?

এমআরপি থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার বড় সুবিধা হলো, পূর্ববর্তী এমআরপি পাসপোর্টের তথ্য ভুল থাকলে সেগুলো সঠিকভাবে সংশোধন করার সুযোগ পাওয়া যায়।

ই পাসপোর্টের জন্য অনলাইন আবেদন বাতিল করতে হলে কি করতে হবে?

ই পাসপোর্টের আবেদন বাতিল করতে হলে আঞ্চলিক জেলা পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে।

ই পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার সময় কোন ধাপে ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হয়?

ই পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার সময় ধাপ ২-এ ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হয়।

ই পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কী কী?

ই পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে: জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ, ঠিকানার প্রমাণপত্র, পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টের ফটোকপি, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে), পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড, নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট।

ই পাসপোর্ট আবেদন ফরমের তথ্য পূরণের সময় কোন ভুল হলে পরবর্তীতে কী করতে হবে?

ই পাসপোর্ট আবেদন ফরমের তথ্য পূরণের সময় কোন ভুল হলে পরবর্তীতে পাসপোর্ট অফিস থেকে সেগুলো সংশোধন করে নিতে হবে।

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম কোথায় পাওয়া যাবে?

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ই পাসপোর্টের জন্য জরুরী যোগাযোগ তথ্য কোথায় প্রদান করতে হবে?

ই পাসপোর্টের জন্য জরুরী যোগাযোগ তথ্য আবেদন ফরমের Emergency Contact ধাপে প্রদান করতে হবে।

ই পাসপোর্টের জন্য পাসপোর্ট ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে কোন ডকুমেন্টটি প্রয়োজন?

ই পাসপোর্টের জন্য পাসপোর্ট ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে Application Summery প্রয়োজন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *