ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করার নিয়ম

আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চান, তাই তো? মজার ব্যাপার হল, আমি যখন প্রথমবার আমার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে গিয়েছিলাম, তখন আমারও একই ধরনের সমস্যা হয়েছিল। একবার ভাবুন, কার্ডে আমার জন্ম তারিখ ১৯৮৫ সালের পরিবর্তে ১৯৯৫ লেখা ছিল! মনে হচ্ছিল আমি হঠাৎ ১০ বছর কম বয়সী হয়ে গেছি! যাই হোক, আপনি কীভাবে এই সংশোধন করবেন, তা নিয়ে আমি আপনাকে কিছু তথ্য দিতে পারি।

প্রথমেই, আপনি NVSP (National Voters’ Service Portal) ওয়েবসাইটে যান। সেখানে আপনি “Correction of entries in electoral roll” অপশনটি পাবেন। এই অপশনে ক্লিক করে আপনি একটি ফর্ম পাবেন যা পূরণ করতে হবে। ফর্মটি পূরণ করার সময় আপনার মূল জন্ম সনদপত্র বা অন্যান্য প্রমাণপত্রগুলির স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। এছাড়া, আপনি ফর্মটি পূরণ করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন এবং পরে এটি প্রিন্ট করে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে জমা দিতে পারেন। আরেকটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার সমস্ত প্রমাণপত্রের কপি যেন পরিষ্কার ও পাঠযোগ্য হয়।

এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে, তাই একটু ধৈর্য ধরতে হবে। যাই হোক, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সংশোধনের পর যখন নতুন কার্ড পেলাম, তখন একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম। আপনারও নিশ্চয়ই তেমনই অনুভূতি হবে। অনেকেই এই প্রক্রিয়াটি জটিল মনে করেন, কিন্তু আসলে এটি বেশ সহজ এবং সোজা। আপনি যদি সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করেন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দেন, তবে কোন সমস্যাই হবে না।

আপনার জন্য একটি পরামর্শ, পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ুন। এতে আপনি আরও গভীরভাবে সমস্ত ধাপগুলি সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আপনার কাজ আরও সহজ হবে। কোনো প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করতে পারেন। শুভকামনা!

জাতীয় পরিচয় পত্রের বয়স সংশোধন: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

জাতীয় পরিচয় পত্রের বয়স সংশোধনের জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। প্রথমত, জন্ম সনদপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার সঠিক জন্ম তারিখ প্রদর্শন করে যা সংশোধনের জন্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।

দ্বিতীয়ত, শিক্ষাগত সনদপত্র আপনার বয়স যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে। এটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পর্যায়ের সনদপত্র হতে পারে।

এছাড়া, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিয়ের সনদপত্র ইত্যাদি ডকুমেন্টও প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। জরুরী ডকুমেন্টগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখুন যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।

ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধনের ধাপসমূহ

ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। প্রথমত, স্থানীয় নির্বাচন অফিসে গিয়ে সংশোধনের আবেদন করতে হবে। এখানে আপনার সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো নিয়ে যেতে হবে।

আবেদনপত্র পূরণ করার পর, নির্বাচন অফিসার আপনার ডকুমেন্টগুলো যাচাই করবেন। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে তিনি সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন।

এরপর, নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে রিসিট সংগ্রহ করতে হবে। সংশোধনের কাজ সম্পন্ন হলে, আপনাকে একটি নতুন আইডি কার্ড প্রদান করা হবে।

অনলাইনে NID সংশোধনের প্রক্রিয়া

বর্তমানে অনলাইনেও NID সংশোধন করা সম্ভব। প্রথমত, জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে (www.nidw.gov.bd) লগইন করতে হবে। এরপর, ‘সংশোধন আবেদন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

এখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও সংশোধনের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। ডকুমেন্ট আপলোড করার সময়, PDF বা JPEG ফরম্যাটে সেগুলো আপলোড করতে হবে।

সবকিছু ঠিকঠাক হলে, আবেদনটি সাবমিট করুন। কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন যাচাই করে ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে আপনাকে জানাবে।

কতদিন লাগবে ভোটার আইডি কার্ডের বয়স সংশোধনে?

ভোটার আইডি কার্ডের বয়স সংশোধনে সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে, কখনো কখনো এই সময়সীমা কম-বেশি হতে পারে।

অনলাইন আবেদন করলে প্রক্রিয়াটি কিছুটা দ্রুত হতে পারে। স্থানীয় নির্বাচন অফিসে সরাসরি আবেদন করলে কিছুটা সময় বেশি লাগতে পারে।

সবকিছু নির্ভর করে ডকুমেন্ট যাচাই ও প্রসেসিংয়ের উপর। তাই, সময়মতো এবং সঠিকভাবে ডকুমেন্ট প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য ফি পরিশোধের পদ্ধতি

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হয়। ফি পরিশোধের জন্য আপনি ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করতে পারেন।

অনলাইনে আবেদন করলে, পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সরাসরি ফি প্রদান করা যায়। ব্যাংকে ফি জমা দিলে, রিসিট সংগ্রহ করতে ভুলবেন না।

ফি পরিশোধে কোনো সমস্যা হলে, স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। ফি পরিশোধ শেষে, রিসিট ও অন্যান্য ডকুমেন্ট সাবধানে সংরক্ষণ করুন।

জরুরী নির্দেশনা ও পরামর্শ

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের প্রক্রিয়ায় সঠিক তথ্য প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল তথ্য প্রদান করলে, আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখুন এবং নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিন।

অনলাইন সিস্টেম ব্যবহার করলে, নিয়মিত আপনার আবেদন স্ট্যাটাস চেক করুন।

কোনো সমস্যা হলে, স্থানীয় নির্বাচন অফিসে বা হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন। সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে, আপনার সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ হবে।

ক্যাটাগরি বয়স সংশোধন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সময়
৩ বছর পর্যন্ত সংশোধন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ৭ দিন
৫ বছর পর্যন্ত সংশোধন জেলা নির্বাচন অফিসার ১৫ দিন
৫ বছরের বেশি
(চাকরীর বয়স, মুক্তিযোদ্ধা, ভোটার যোগ্যতা, নির্বাচনে প্রার্থীর সীমা, বয়স্কভাতা অর্জনের বয়স সীমা বাদে)
আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার ৩০ দিন
৫ বছরের বেশি
(সকল ক্ষেত্রে)
NID মহাপরিচালক ৪৫ দিন

Read also: ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরঃ

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়?

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজন হয় SSC বা HSC সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিবাহের কাবিন নামা, এমপিও সিট বা সার্ভিস বহি, এবং কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন বা সুপারিশ।

জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে প্রাথমিকভাবে কোন ওয়েবসাইটে যেতে হবে?

জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে প্রথমে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য লগইন করার পর কোথায় যেতে হবে?

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য লগইন করার পর প্রোফাইল অপশনে যেতে হবে এবং সেখান থেকে ব্যক্তিগত তথ্য এডিট করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য কত টাকা ফি জমা দিতে হয়?

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ফি নির্ভর করে সংশোধনের ধরন এবং সময়ের উপর, তবে সাধারণত বিকাশ বা অন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি জমা দিতে হয়।

ভোটার আইডি কার্ডের বয়স সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে?

ভোটার আইডি কার্ডের বয়স সংশোধন করতে সংশোধনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে ৭ দিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

৫ বছরের বেশি বয়স সংশোধনের জন্য কোন কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত?

৫ বছরের বেশি বয়স সংশোধনের জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার বা NID মহাপরিচালক দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকেন।

কিভাবে বিকাশের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ফি পরিশোধ করবেন?

বিকাশের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে বিকাশ এ্যাপ থেকে লগইন করে “পে বিল” অপশনে যান, “সরকারি ফি” এবং “NID Service” অপশন সিলেক্ট করুন, NID নম্বর লিখুন, “NID Info Correction” অপশন সিলেক্ট করুন এবং পিন নম্বর দিয়ে পরিশোধ করুন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন ফরম কোথায় পাবেন?

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন ফরম আবেদন সাবমিট করার পর প্রোফাইলে ডাউনলোড লিংক থেকে পাবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য আবেদনের কপির কি প্রয়োজন আছে?

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য আবেদনের কপি কোথাও জমা দিতে হয় না, তবে কপি নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হয়।

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধনের আবেদনের জন্য কি কি প্রমাণপত্র লাগে?

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য SSC সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *